শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

উচ্চশিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচানোর দাবিতে এস ইউ সি আই এর বিক্ষোভ মিছিল

Reading Time: 2 minutes

শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা:
১৪ই সেপ্টেম্বর দুপুর একটায়, এস ইউ সি আই এর ডাকে, উচ্চশিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচানোর দাবিতে, কলেজ স্কোয়ার থেকে রানী রাসমণি পর্যন্ত এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করলেন, উপস্থিত ছিলেন এস ইউ সি আই-এর সম্পাদক চন্ডীদাস ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির, বিভিন্ন জেলা থেকে বেশ কয়েকশ এসইউসিআই কর্মী এই মিছিলে যোগদান। তারা জানান আমরা দুটি জায়গাতে এই বিক্ষোভ মিছিল করছি ,তার মধ্যে একটি কলকাতা, আরেকটি নর্থ বেঙ্গল। বৃষ্টির মধ্যেও এতটুকু কেউ পিছুপা হননি ,একইভাবে মিছিল রানি রাসমণি পর্যন্ত পৌঁছায়। রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের হীন দখলদারি বন্ধ করে উচ্চশিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচানোর দাবিতে এবং রাজ্য শিক্ষানীতির মাধ্যমে এই রাজ্যে সুকৌশলে জাতীয় শিক্ষানীতির কার্যকর করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন এবং তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন,গত কিছুদিন যাবত রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য এবং রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে এবং সমাজ মাধ্যমে রাজ্য বিশ্ব বিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ বিষয়ে পরস্পরের প্রতি যে ভাষায় কথা বলেছেন, যে শারীরিক ভাষা প্রয়োগ করেছেন ,একে অপরের উপর, যেভাবে ধুমকি হুমকি বর্ষণ করছেন তাতে আমরা বিস্মিত,প্রথমেই বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের ভূমিকা সুনির্দিষ্ট, বিশ্ববিদ্যালয় আইনেই তা লিপিবদ্ধ আছে, সেই আইন কে অমান্য করে রাজ্যপাল হিসাবে আপনি নিজের পছন্দ মতো ব্যক্তিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, কখনো প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন অধ্যাপক, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ,এমনকি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কে আপনি নিয়োগ করেছেন উপাচার্য পদে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ করার প্রয়োজনও আপনি বোধ করেননি, রাত বারোটার পরও আপনি চিঠি পাঠিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কেও মত প্রদানের কোন সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আপনি বোধ করছেন না, যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উপাচার্য নাই, আপনি নিজেই সেখানকার উপাচার্য বলে ঘোষণা করলেন, আপনার এটা অজানা নয়, যে ইউজিসি র নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্য যিনি হবেন ,তিনি কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হবেন তাই নয়, তার সেই পদে অত্যন্ত দশ বছর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, আপনি এই নিয়ম জেনেও ক্ষমতার জোরে তা অগ্রাহ্য করেছেন ,এই আচরণগুলির কোনটাও আপনার পদমর্যাদার পক্ষে শোভনীয় নয়। আপনার এই পদক্ষেপগুলি প্রমাণ করছে যে আপনি শিক্ষার স্বার্থের পরিবর্তে , কেন্দ্রীয় সরকারের আসীন বিজেপির স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধপরিকর ,আমরা এর ধিক্কার জানাই। শিক্ষা নিয়ে ছিলি মিলি খেলাকে,অন্যদিকে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের আইন সংশোধন করতে গিয়ে, ইউজিসির নিয়ম রাজ্য সরকার লঙ্ঘন করেছে, সংশোধিত আইন এমন হয়েছে যে তৃণমূল সরকারের পছন্দের ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ উপাচার্য হতে পারবেন না, তৃণমূল কংগ্রেস ও আইন সংশোধন করে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের দলীয় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে উঠেপড়ে লেগেছে, আমরা এই সকল বিষয়ের উপর দৃষ্টিগোচর করতে চাই এবং ধিক্কার জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com